করোনা ও লকডাউনের প্রভাব, আড়াইহাজারে বাড়ছে চুরি ডাকাতি
প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২০

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে করোনা ও লকডাউনের প্রভাবে শত শত লোক বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে বাড়ছে চুরি ও ডাকাতি। চরম ভাবে অবনতি হচ্ছে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির। গত ৩ দিনে তিন স্থানে ডাকাতি, এক স্থানে চুরি, গণপিটুনীতে এক ডাকাত নিহত ও এক সিঁধ কাটা চোর গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা তাই প্রমাণ করে।
বিগত প্রায় ২ বছর ধরে আড়াইহাজারে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি যথেষ্ট স্থিতিশীল ছিল তা যে কারো নজরে এসেছ। এলাকায় চুরি–ডাকাতি বলতেই ছিলনা। কিন্তু ৩–৪ দিন যাবত শুরু হয়েছে চোর, ডাকাতদের উপদ্রব। এলাকাবাসি বলছে, করোনা ও লকডাউনের প্রভাবে এলাকাবর শত শত লোক বেকার হয়ে পড়ার প্রতিফল এটি। কোন প্রকার যানবাহন চলছেনা। কল কারখানা বন্ধ। শত শত শ্রমিক আজ গৃহবন্দী। তাই অভাবের তাড়নায় মানুষ নানা প্রকার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
২১ এপ্রিল আড়াইহাজার পৌর সদরের বাঘানাগর এলাকায় জামাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ির বাড়ীতে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল গৃহকর্তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রায় ১০–১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ২২ এপ্রিল রাতে উপজেলার হাইজাদী ইউনয়িনের রাইনাদী শিমুলতলি বাজারে দুটি দোকানের সাটারের তালা কেটে বাজারের পাহারাদারদেরকে হাত, পা বেঁধে ডাকাতি করে এক দল মুখোশ পরিহিত সশস্ত্র ডাকাত।
একই দিন রাতে লষ্করদী গ্রামে এক বাড়ীতে ডাকাতি করতে গিয়ে জুয়েল (৩৮) নামে এক ডাকাত গণপিটুনীর শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সে লষ্করদী গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে। ২৩ এপ্রিল রাতে বৈলারকান্দীর আল আমিন ও হারুনের এর বাড়ীতে সিঁধ কেটে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পরে ইব্রাহীম (৩০) নামে এক চোর গণপিটুনীতে মারাত্মক ভাবে আহত চোর ইব্রাহীম আড়াইহাজার থানা পুলিশের হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি আছে। তার অবস্থা গুরুতর। সে উপজেলার গাজীপুরা গ্রামের মৃত সাহাজউদ্দীনের ছেলে।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি ( তদন্ত ) আমির হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে লোকজন বেকার হয়ে পড়ার প্রভাবেই হঠাৎ করে মানুষ চুরিÑডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ছে। তবে চুরি, ডাকাতি রোধে পুলিশ চোর–ডাকাত গ্রেফতারে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে।