দেশজুড়ে

মিরসরাইয়ে মাছের আকাল; ভরসা চড়া দামে পাঙ্গাস আর তেলাপিয়ায়

  প্রতিনিধি ১২ জুন ২০২১ , ৯:১০:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

দেশীয়-মাছের-আকাল

আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই:

প্রাকৃতিক ও চাষ কৃত মাছের ভান্ডার নামে পরিচিত মিরসরাই কিন্তু এই মিরসরাইয়ে দেখা দিয়েছে মাছের আকাল। বাজারে মাছ নেই বললেই চলে। সামান্য পাঙ্গাস আর তেলাপিয়া মাছ পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মাছ ক্রয় করতে বাজারে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে পরিবারের কর্তা ব্যাক্তিকে। উপজেলার একাদিক বাজার গুরেও কাঙ্খিত মাছ না ফেয়ে বেজার মুখে ঘরে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতা সাধারণকে। দুপুর বা রাতের খাবারের তালিকায় মাছের মেনুটি বাদ পড়েগেছে অনেকের ঘরে। মাছে ভাতে বাঙ্গালী এই কথা এখন আর বাস্তবে নেই, কেবল রুপ কথার গল্প হয়ে মুখে মানায় বাস্তবে নয়।

জানা গেছে, টানা তিন মাসের খরায় খালবিল শুকিয়ে দেশি মাছের মজুদ শেষ হয়ে গেছে আরো কয়েক মাস আগে।

উপজেলার একমাত্র বড় মৎস্য ক্ষেত্র মুহুরী মৎস্য প্রকল্প এলাকা সহ উপজেলার মৎস্য ঘের গুলো শুকিয়ে মাছের মড়ক শুরু হয়। মাছের মড়ক লাগায় মাছ চাষীরা দ্রæত পানি নিষ্কাশন করে তাদের মাছ বিক্রি করে দিয়েছে আড়ৎদারদের কাছে। মাত্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে, জমি, নালা, খাল, পুকুর, ডোবা, জলাশয়ে মাছের উপস্থিতি এখনো আসেনি। মৎস্য ঘেরে মাছের পোনা ছেড়েছে মাছ চাষীরা, সেই পোনা পরিপক্ক হয়ে খাবার উপযুগি মাছ হতে আরো তিন মাস লাগবে। এই দিকে আবার নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। সব মিলিয়ে বাজারে মাছের সরবরাহ নেই বললেই চলে। তাই উপজেলার বাজার গুলোতে দেখা দিয়েছে মাছের আকাল।

মিরসরাইয়ের এক মৎস্য চাষি সলিম উদ্দিন এই প্রতিনিধিকে জানান, খরার কারনে মাছের মড়ক দেখা দেওয়ায় মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। খরা কেটে উঠার পর পাইকারে মাছের দাম কমেগেছে। মাছের চাহিদা অনুযায়ী পাকারী বাজারে যোগান কয়েক গুন বেশি। প্রতিটন মাছে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চাষীরা। উচিত মূল্য না পাওয়ার কারনে প্রজেক্ট থেকেও পর্যাপ্ত মাছ উত্তোলন করছেনা মাছ চাষীরা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাছিম আল মাহমুদ বলেন, বর্তমানে সাগরে ৬৫ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা চলছে সরকারী ভাবে। যার প্রভাব মাছের বাজারে লক্ষনীয়।

তবে উপজেলার মহুরী মৎস্য প্রকল্প এলাকায় প্রচুর পরিমানে দেশিয় মাছ উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু এই সব মাছ স্থানিয় ভাবে যোগান না দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে যাচ্ছে। যার কারনে উপজেলার বাজার গুলোতে দেশি ও পুকুরের মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যার করা হবে। তখন আবার মাছের যোগান সাভাবিক হবে আশা করা যাচ্ছে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by