কৃষি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিলম্বি ফলের রয়েছে প্রচুর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা

  প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২১ , ৩:৪০:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মো.দেলোয়ার হোসেন, নবীনগর প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে ফলের নাম বিলম্বি। নবীনগরের একটি ঐতিহ্যবাহী টক ফল এটি। রসালো ও মুখরোচক ফলটি তরকারিতে অপূর্ব স্বাদ এনে দেয়। দেশের অন্য কোথাও বিলম্বি ফল সাধারণত চোখে পড়ে না। তবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সীমিত আকারে এ ফলের চাষ হয় বলে জানা গেছে । এই ফল দেখতে অনেকটা লম্বা সাইজের টমেটোর মত ।

রং হালকা সবুজ তবে পাকা অবস্থায় ধারণ করে হলুদ বর্ন। তেঁতুলের মতো এতটা করা টক নয় এই ফল মাছের তরকারি আর ডালে ব্যবহৃত হয় বেশি। তাছাড়া আচারও করা যায় । বিলম্বি বারোমাসি ফল। এ ফলের গাছ ১২ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। গাছের ডালে সমাহার চিরল পাতার।

একটি গাছ একনাগাড়ে ফল দেয় ১৫ থেকে ২০ বছর। প্রতিটি ডালে ধরে প্রচুর ফল । একটি গাছ বর্ষায় ১০০ কেজি এবং শীতকালে ৫০ কেজি পরিমাণ এর ফলন দিতে পারে। গোড়ায় পানি জমলে গাছ মারা যায় । বিলম্বির চারা হয় বীজ থেকে। ৩ বছরে ফল ধরে ।ফুল থেকে ফল হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে হয় খাওয়ার উপযোগী ।

গাছ থেকে পাড়ার দই তিন দিন পরে পচে যায় এ ফল। পাছা চেটে দিলে ফলন বেশি হয়। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি বিলম্বি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নবীনগরে বিলম্বি গাছ সংগ্রহ ইতিহাস ও বেশ প্রাচীন। প্রায় শত বছর আগে নবীনগরের তৎকালীন পোস্ট মাস্টার ইয়াকুব আলী চৌধুরী তার ব্যক্তিগত বিভাগের জন্য এই গাছের চারা সংগ্রহ করেন। স্থানীয় আদালতের চাপরাশি নরেন্দ্র চন্দ্র মোদি এনে দেন এচারা।

বর্তমানে এখানকার বেশকিছু বাড়িতেই বিলম্বি গাছ রয়েছে। শুধু তাই নয়, এলাকার বিলম্বি চারা অনেকেই শখ করে নিয়ে গেছেন ইউরোপ-আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। ওখানে কী নাম, তা জানা যায়নি। তবে স্থানীয়ভাবে পরিচিতি রয়েছে বিলম্বি নামে। অনেকের অভিমত কৃষি বিভাগের উদ্যোগে নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী ফলের পুষ্টি গুনাগুন নির্ণয় করা দরকার। তাছাড়া বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিবেচনা করা যেতে পারে তরকারি এবং আচার হিসেবে বিলম্বের সম্ভাবনাকে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by