চট্টগ্রাম

দাবী পৈতৃক জায়গায় স্থাপনা,সওজ বলছে অবৈধ স্থাপনা

  প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২৩ , ৮:১৮:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
বান্দরবানে সড়ক ও  জনপদ বিভাগের সরকারী জায়গা দখল করে সড়কের পাশে  স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ আছে অনেকের।
সড়কের পাশে ক্ষমতার দাপটে অথবা অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়,যোগসাজসে চলছে অবৈধ স্থাপনা,  দালান কোটা কিংবা দোকান ঘর নির্মাণ।
বান্দরবান সদর উপজেলা সড়ক ও জনপদের দাবী করা সরকারী জায়গায় বেআইনিভাবে দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে নুর মোহাম্মদ নামে  ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সরজমিনে দেখা যায়, সুয়ালক ইউনিয়নের বন বিভাগের চেক পোষ্টের পাশে সড়কের  ৩ ফুট দুরত্বে চলছে ঘর নির্মাণ।
৫ থেকে ৬জন শ্রমিক এরি মধ্যে ইট দিয়ে সাইড ওয়াল ও ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেচে প্রায় ৫ ফুটের মতো।
 নিজের পৈতৃক জায়গা দাবী করা নূর মোহাম্মদ   ৩১৪ নং সুয়ালক মৌজার ৫১৩ নং হোল্ডিং এর কাগজের জমাবন্দি দেখালেও সেখানে উপরে উল্লেখ করা আছে চাষ-২।  তাদের দাবী  তার পিতা আব্দুল খালেক খাস জমি হতে ৩০ শতক জায়গায় বন্দোবস্তী পেয়েছিলেন।
তার প্রেক্ষিতে সড়কের পাশে নির্মান কাজ করা জায়গা ৩০ শতক জায়গার মধ্যে  বলে দাবি করে যাচ্ছেন নুর মোহাম্মদ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, নুর মোহাম্মদ সুয়ালক এলাকার বাসিন্দা। অবৈধ কাঠ চোরাচালানের পাশাপাশি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির  কাজে  জড়িত রয়েছেন তিনি।  দীর্ঘদিন আগে জায়গা ছিলো খালের পাশে।  খালের পাশে জায়গার উল্লেখ থাকলেও নদীর ভাঙ্গনের কারণের তাদের কিছু শতকের জায়গা বিলীন হয়ে যায়।
দীর্ঘ বছর পর সড়কের তিন ফুট দুরত্বে  পাশের জায়াগাটি  তাদের কাগজের জায়গা বলে দাবী করেন, অথচ এরি মধ্যে সড়ক জনপদ বিভাগ হতে উল্লেখিত জায়গায়  ঘর নির্মানে বাধা ও নোটিশ জারি করা হয়।
এ বিষয়ে নূর মোহাম্মদ এর সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন এটা আমার পৈত্রিক জায়গার ৩০ শতকের একটি অংশ।তিনি বলেন সড়কের পাশে অনেকেই ঘর তুলছে সে গুলো কেউ উচ্ছেদ করে না,আপনারা সাংবাদিক একটু ম্যানেজ করে নেন।তিনি বলেন ইউপি চেয়ারম্যান উক্যনু এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।তিনি আরো বলেন যদি এটি সড়ক বিভাগের জায়গা হয় আমি নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখবো।এই স্থানে নির্মাণ কাজ  বন্ধ রাখা সংক্রান্ত  পূর্বে কোন নোটিশ তিনি পাননি বলে দাবী করেন।
বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোন সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন স্থাপন নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইন যেসব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না। তা বোঝা যায় সদর উপজেলায় সুয়ালক ইউনিয়নের সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ঘটনায়।
সুয়ালক বন বিভাগের চেক পোষ্টের কর্মরত অংছাই মারমা বলেন, বেশ কিছু দিন আগে ঘর নির্মাণের এক পর্যায়ে  সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তা এসে ভেঙ্গে দিয়েছিল এবং বাড়ি স্থাপন  না করতে বাধা প্রদান করেছিল এখন কিভাবে হয়েছে সেটা বুঝতে পারছি নাহ।
আরেক ব্যক্তি আব্দুল হাকিম  বলেন, তাদের জায়গার কাগজ রাঙ্গমাটি জেলায় ছিল, কিভাবে এখানে এসে জায়গা কাগজ বসিয়েছে সেটা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া আগে তাদের জায়গা আগে ছিল খালের ওপারে।
১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর ছফুর বলেন, এটা তাদের জায়গা,আপনারা সাংবাদিক মানুষ,জায়গা সম্পর্কে আপনাদের ধারনা নেই।ইউপি সদস্য বলেন তার বাবা বেঁচে  থাকতে এই জায়গা পেয়েছে।তার কাজে কেনো সহযোগিতা করছেন,সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের  বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে ঐ জায়গা হতে সরে জান।
৪নং সুয়ালক ইউপি চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বলেন, তাদের জায়গার কাগজ আছে,জমিটি তাদের বাবার সম্পত্তি অনেক আগে মাপযোগ হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন,সুয়ালক লম্বা রাস্তায় সেলিম নামে এক ব্যক্তি সরকারী জায়গা দখল করে আছে তাকে এখনো সড়ক ও জনপদ উঠাতে পারেনি, এগুলা বলে কোন লাভ নাই।
এ ব্যাপারে বান্দরবান সড়ক ও জনপদের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ফারহান সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইতিপূর্বে  সুয়ালক বনবিভাগের চেকপোস্ট সংলগ্ন রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ আমরা পরিদর্শন করে তা বন্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করেছি এবং তাদেরকে নোটিশ জারি করেছি। যাতে ভবিষ্যতে এই স্থানে কোন স্থায়ী নির্মাণ কাজ তিনি না করেন।এখন যদি তিনি আবারো আইনের অবজ্ঞা করে ঐ স্থানে স্থায়ী কোন  অবকাঠামো নির্মাণ করেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।
এদিকে প্রতিবেদন লিখার আগ পর্যন্ত সড়ক বিভাগের পক্ষ হতে পূনরায়  অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by