বরিশাল

জেএমবির সিরিজ বোমা-হামলার দুই আসামি দিন কাটাচ্ছে ঝালকাঠির কারাগারে

  প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২০ , ৭:৪০:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে ২০০৫ সালে আলোচিত জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা-মামলায় দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর চলতি বছরের ১৯ ফেব্রæয়ারি (বুধবার) আদালতের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত দুই আসামি বর্তমানে কারাগারে দিন কাটাচ্ছে। ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান আসামি বিকনা এলাকার মো. ইউনুস মল্লিকের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান এবং বৈদারাপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেনের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। সিরিজ বোমা হামলার দুই মামলার একটিতে আসামিদের বিস্ফোরক আইনের পৃথক দুটি ধারায় যাবজ্জীবন ও ১০ বছরের কারাদন্ড দেয় আদালত। ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ জেএমবির সদস্য ঝালকাঠির বিকনা গ্রামের মো. জিয়াউর রহমান ও আহত অবস্থায় আটক রিকশাচালক ফরিদ হোসেনকে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের পর মামলায় ১৩ জনের সাক্ষী সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু জানায়, ‘২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার পর পর পাঁচটি বোমার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঝালকাঠি শহর। একই সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, আইনজীবী সমিতি, সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর ও বিকনা টেম্পো স্ট্যান্ডসহ ৫টি স্থানে। এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানার তৎকালীন ওসি মোঃসোহরাব আলী বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করে আহত অবস্থায় আটক ফরিদ হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।’ তিনি বলেন, ‘১৭ আগস্ট বোমা হামলার ঘটনার আড়াই মাস পর ১৪ নভেম্বর দেশের ইতিহাসে প্রথম জেএমবির আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে নিহত হন। এ মামলায় ঝালকাঠির আদালতেই জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমানসহ সাত শীর্ষ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ হয়। ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দেশের বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। পরবর্তীতে এর প্রতিশোধ নিতে জেএমবি ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল মামলা পরিচালনাকারী তৎকালীন পিপি হায়দার হুসাইনকে গুলি করে হত্যা করে বলে জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by