ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের সংখ্যা। বয়স্কদের পাশাপাশি এখন কমবয়সীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। এ কারণে অকালে ঝরে যাচ্ছে অনেক প্রাণ।হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটতে পারে, এ কারণে এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানা উচিত সবারই। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে বাঁচাতে তাৎক্ষণিক কী করণীয় তাও জানা জরুরি। এতে নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনও বাঁচাতে পারবেন।
উপরের উপসর্গগুলোর মধ্যে কোনোটি অনুভব করলে বুঝতে হবে সেটি হার্ট অ্যাটাক। তবুও আপনার অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স কল করা উচিত। ডা. গ্রান্ট রিড জানান, অনেক রোগী তাদের উপসর্গগুলো উপেক্ষা করেন। ফলে হাসপাতালে যেতে যেতেই তাদের হার্টের পেশি মারা যায়।
আপনি যত দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাবেন তত তাড়াতাড়ি ডাক্তাররা অবরুদ্ধ করোনারি ধমনী খুলে দিতে পারেন। এতে আপনার মৃত্যুঝুঁকি কমবে ও সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন দ্রুত।
অ্যাসপিরিন খাওয়াতে হবে
হার্ট অ্যাটাকের সময় ধমনীতে রক্ত প্রবাহকে ব্লক করে দেয়। অ্যাসপিরিন গ্রহণ করা ধমনীর রক্তের জমাট বাঁধার কিছু অংশ ভেঙে দিতে সাহায্য করতে পারে। চিকিৎসকরা অ্যাসপিরিন গিলে ফেলার পরিবর্তে চিবানোর পরামর্শ দেন, যাতে এটি দ্রুত শরীরে প্রবেশ করে।
হাসপাতালে একা যাবেন না
যদি মনে করেন আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তাহলে নিজেই হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এর পরিবর্তে অবিলম্বে একটি অ্যাম্বুলেন্স কল করুন।
আপনি চেতনা হারাতে পারেন, তাই এই ঝুঁকি নেবেন না। যদি পরিবারের কাউকে পাশে পান তাহলে তাকে বলুন আপনাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া ব্যবস্থা করতে।
রোগী অজ্ঞান হলে সিপিআর দিন
হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির যদি শ্বাস-প্রশ্বাস না থাকে বা আপনি নাড়ি খুঁজে না পান, তাহলে রক্ত প্রবাহিত রাখতে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) শুরু করুন। তার আগে অবশ্যই অ্যাম্বুলেন্সে কল করুন।
হ্যান্ডস-অনলি সিপিআরের জন্য আপনাকে ব্যক্তির বুকের মাঝখানে দ্রুত ছন্দে জোরে জোরে দ্রুত ধাক্কা দিতে হবে, যতক্ষণ না প্যারামেডিকরা আসেন ততক্ষণ পর্যন্ত। প্রতি মিনিটে প্রায় ১০০-২০০ কম্প্রেশন দিতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া